বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম হলো ‘রাসেলস ভাইপার’। এই সাপের নামকরণের ইতিহাস যেমন চমকপ্রদ, তেমনি এর গুরুত্বও অপরিসীম।
‘রাসেলস ভাইপার’ নামটি এসেছে স্কটিশ জীববিজ্ঞানী প্যাট্রিক রাসেল এর নাম থেকে। ১৮৩১ সালে রাসেল ভারতবর্ষে এসে সাপ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তারই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, নতুন প্রজাতির এই বিষধর সাপটি তার নামে নামকরণ করা হয়। রাসেলের গবেষণার কারণে তিনি ‘ফাদার অফ ইন্ডিয়ান ওরনিথোলজি’ হিসেবেও পরিচিত।
রাসেলস ভাইপার সাপ সাধারণত এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, ভারতীয় উপমহাদেশ, চীন এবং তাইওয়ানে পাওয়া যায়। এটি আকারে মাঝারি থেকে বড় হয়ে থাকে এবং এর দেহে বাদামি বা ধূসর রঙের প্যাটার্ন থাকে। বিষের ক্ষমতা অত্যন্ত প্রখর হওয়ায় এটি মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
রাসেলস ভাইপার এর বিষ রক্তজমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে। এর বিষের প্রভাবে মানুষ দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই গ্রামাঞ্চলে এর উপস্থিতি মানুষের জন্য বড় ধরনের হুমকি।
রাসেলস ভাইপার থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়া জরুরি। গ্রামের মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা, এবং সাপ দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাসেলস ভাইপার’ নামকরণ এবং এর বিষের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সঠিক তথ্য ও সতর্কতার মাধ্যমে এই সাপের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।